Thursday, April 16, 2009

SOME PROBLEMS OF BANGLADESHI PASSPORT


বিদেশ ভ্রমনের জন্য যে জিনিসটি অতীব প্রয়োজনীয় তা হলো পাসপোর্ট, এটি জাতীয় পরিচয়ও বহন করে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের পাসপোর্টের রয়েছে নানারকম সমস্যা। সমস্যাগুলি আলোচনার পূর্বে পাসপোর্ট সম্পর্কে কিছু বলি। The International Civil Aviation Organization (ICAO) পাসপোর্টের ফরমেট, মান, ডাটা কি রকম হবে এগুলি নিয়ন্ত্রনের আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান।

ধরনঃ বিভিন্ন টাইপের পাসপোর্ট রয়েছে। যেমন: ১। সাধারন পাসপোর্ট, ২। অফিসিয়াল পাসপোর্ট, ৩। কুটনৈতিক পাসপোর্ট সহ আরো নানা রকম পাসপোর্ট।

মানঃ পূর্বেই বলেছি International Civil Aviation Organization (ICAO) পাসপোর্টের মান নিয়ন্ত্রনের আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান। পাসপোর্টের কভারে কি থাকবে, কি কি ডাটা থাকবে তা এই প্রতিষ্ঠান নির্ধারন করে।যেমন:
1. The name of the issuing country on a passport cover
2. A national symbol
3. A description of the document (e.g., passport, official passport, diplomatic passport)
4. And, if the passport is biometric, the biometric-passport symbol, etc.

ভাষাঃ ১৯২০ সালে League of Nations এর কনফারেন্সে নির্ধারিত হয় আন্তর্জাতিক পাসপোর্টের ভাষা হবে French, যা ঐতিহাসিকভাবে কূটনৈতিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃত এবং এর সাথে অন্য একটি ভাষাও (মাতৃভাষা) থাকবে। কিন্তু এখন ICAO এর মতে পাসপের্টের মূল ভাষা হবে English এবং French, এবং তার সাথে মাতৃভাষাও থাকবে।

বাংলাদেশের পাসপোর্টঃ বাংলাদেশের পাসপোর্টের রয়েছে নানারকম সমস্যা। যেমনঃ
১। প্রথমেই দেখুন জাতীয় পরিচয় বহনকারী কয়েকটি পাসপোর্টের নমুনা!

এখানে প্রফেশন বানান ভুল।

মায়ের নামের পূর্বে miss!
২। প্রফেশনঃ প্রফেশনের ব্যাপারটা খুবই সমস্যাজনক। পাসপোর্ট প্রনয়নের সময় কখনও এটা যাচাই করা হয় না।
৩। উচ্চতাঃ আমার জানামতে কোন পাসপোর্ট অফিসে উচ্চতা মেপে তা যাচাই করা হয় না। যে যেমন লিখে দেয় তা পাসপোর্টে লিখা হয়! বেশির ভাগ সময়েই ১ মি. ৬২-৬৫ সে.মি. এর উচ্চতাই বাংলাদেশের পাসপোর্টে লিখা থাকে। যদিও পাসপোর্টে পরিমাপের একক মি/সে.মি., অনেক পাসপোর্টে দেখেছি ফুট/ইঞ্চি ও আছে! এটা একটা বিরাট সমস্যা।
৪। লেখার ধরনঃ বাংলাদেশের পাসপোর্ট হাতে লেখা হয়। অনেক সময় এই হাতের লেখা কোনভাবেই বুঝা যায় না, যা খুবই সমস্যাজনক।

বলতে পারবেন জন্মস্থানটা কোথায়?
৫। সীলমোহরঃ পাসপোর্ট অফিসকতৃর্ক দেয়া সীল ৫/১০ বছর মেয়াদী পাসপোর্টে অনেক সময় লেপ্টে যায়। এখন কিছু কিছু যায়গায় পাসপোর্ট প্রদানের স্থানও সীল মেরে দেয়া হয়, যা কয়দিন পরেই বুঝা যায় না!


সমাধানঃ
১। এ সমস্যাগুলিসহ আরো যে সমস্যা আছে তা থেকে পরিত্রানের সহজ উপায় হলো যারা পাসপোর্ট প্রনয়ন করেন তাদের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ এটি আমাদের দেশের পরিচয় বহন করে বিদেশে। পাসপোর্টে ভুল থাকা/ ভুল তথ্য থাকা দেশের জন্য লজ্জাজনক।
২। এই সময়ে পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট দিয়ে থাকে, যা খুবই আধুনিক এবং নিরাপদ। আমাদের পাশ্ববর্তীদেশ ভারত
,
পাকিস্তান সহ অধিকাংশ দেশেই মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট। আমাদের মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট দিতে সমস্যা কোথায়? মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট প্রনয়ন করলে উপরোক্ত সমস্যাগুলির বেশির ভাগই সমাধান হয়ে যাবে।

আশাকরি আমাদের বর্তমান ডিজিটাল সরকার বিষয়টি বিবেচনা করে আমাদেরকে ডিজিটাল পাসপোর্ট উপহার দিবেন।